স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে তারা রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাষ্কর্যে অনুষ্ঠিত ছাত্র শিক্ষক সমাবেশে উপস্থিত হন ।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক আসিফ নজরুল বলেন, দেশে অফিস-আদালত, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন, শপিংমল সবই খোলা আছে কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ৷ সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশ সন্তান বিদেশে থাকে। আসল সমস্যা মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। এদের বিষয়ে সরকারের কোনো মাথাব্যথা নেই।
আসিফ নজরুল বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু সরকারের কাছে শাসনই হলো জাতির মেরুদণ্ড। শাসনের জন্যই অফিস-আদালত, শপিংমল খোলা রাখা হয়েছে। রাজনীতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারলে সরকার ভাবছে নিরাপদে থাকবে। কোনো প্রতিবাদ হবে না। তাই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফ বিল্লাহ বলেন, দেশের সবকিছু খোলা রেখে শিক্ষামন্ত্রী বলছেন ৫% এর নিচে সংক্রমণ হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে। এভাবে যদি সব কিছু খোলা থাকে তাহলে কোন দিনই ৫% এর নিচে সংক্রমণ নামবে না। তাহলে কোন দিনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না? আমরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা সরকারের ব্যর্থতা।
এই দুই শিক্ষক ছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের আরও ১৮ জন শিক্ষক সংহতি প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনের সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা দিয়ে ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আসিফ মাহমুদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষার সঙ্গে জড়িত প্রশাসনের আত্মিক মৃত্যু ঘটেছে। এ উপলক্ষে আগামী মঙ্গলবার ঢাবি ক্যাম্পাসে ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতীকী লাশ নিয়ে খাটিয়া মিছিল’ কর্মসূচি পালিত হবে।
ছাত্র শিক্ষক সমাবেশের পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখানে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবাদী গান ও কবিতা পরিবেশন করে। এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে নানা স্লোগান দেয়।